সিএনজি চালিত অটোরিক্সার পেছনে বেঁধে নিয়ে আসা হল করোনা সুরক্ষার সিনোফর্ম ভ্যাকসিনের কোল্ডবক্স। সোমবার(১২ জুলাই) দুপুরে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কোল্ডবক্সে করেই ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে টিকা নিয়ে আসা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি ২টি অ্যাম্বুলেন্স ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ১টি গাড়ী থাকার পরও মহামূল্যবান এ ভ্যাকসিন এভাবে ঝুঁকি নিয়ে বহন করে আনার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অটো-রিকশাটি সিভিল সার্জন অফিসে প্রেরণ করে সিনোফর্ম ভ্যাকসিনযুক্ত শীতল বাক্সগুলি সংগ্রহ করতে। এদিকে, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য একটি পিকআপ ভ্যানে প্রেরণ করে। সোমবার দেশের উপজেলা পর্যায়ে সিনোফর্ম ডোজ সহ কোভিড -১৯ টিকা অভিযান শুরু হয়েছে। ২ জুলাই চীন থেকে মোট ২০ লাখ সিনোফর্ম জাবস দেশে এসেছিল।
সরকারি ২টি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সাধারণ মানুষ এগুলোর দেখা পাইনা বলেও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। গত সপ্তাহে লকডাউন চলাকালে রোগী না নিয়ে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনকালে (১ জুলাই) কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যেরটেক এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে আটক হয়ে চালককে গুনতে হয় জরিমানা।
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় করোনার টিকা সংরক্ষনের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি পরিবহন থাকার পর অটোরিক্সায় পেছনে বেঁধে ঝুঁকি নিয়ে এভাবে টিকা পরিবহনে তাপমাত্রা কতটা সংরক্ষিত হবে এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।
কেন ভ্যাকসিনের বাক্স গুলি ঝুঁকিপূর্ণ এবং অরক্ষিত উপায়ে পরিবহন করা হচ্ছে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাহেদ মো. সাইফুদ্দিন বলেন, খালি বক্স গুলো সিএনজির বাইরে ছিলো। দুইটি বক্সে করে টিকা এসেছে। সে গুলো সিএনজির ভেতরে সুরক্ষিতভাবে ছিল।
Developed By Muktodhara Technology Limited