image

বাঁশখালীতে রাতের আঁধারে ‘স’ মিল ও দোকান ঘর ভাংচুর, আটক ২

image

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল রাস্তার মাথা সংলগ্ন শাহানা বেগম ‘স’ মিল ও দোকানঘরে রাতের আঁধারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ২ টার দিকে সংঘবদ্ধ কতিপয় দুবৃত্তদের হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল কয়েক দফা পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকেলে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেখেরখীলের প্রয়াত অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন শাহানা বেগম ‘স’ মিলে গত ২০ বছর যাবৎ বিভিন্ন কাঠ ছিড়াইয়ের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে স্থানীয় জহির আহম্মদ প্র. জইফ্যার নেতৃত্বে কতিপয় দুবৃর্ত্তদের ওই ‘স’ মিল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর কুনজর পড়ে। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ২০-৩০ জনের সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী দুবৃর্ত্ত ওই ‘স’মিল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় তারা ‘স’ মিলে থাকা কর্মরত শ্রমিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি রেখে ‘স’ মিলের যন্ত্রাংশ ভাংচুর করে এবং ঠেলা গাড়ী করে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার গাছ লুট করে নিয়ে যায়। ‘স’ মিলের মালিক খবর পেয়ে বাঁশখালী থানার সাহায্য চাইলে থানা পুলিশের দুইটি টিম ঘটনাস্থলে দুবৃর্ত্তদের ধাওয়া দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নবী হোসেন প্র. নবু ও খোকন আহম্মদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

‘স’ মিলের স্বত্বাধিকারী ও মামলার বাদী ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, ‘স্থানীয় জহির আহমদ প্র. জইফ্যার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ ২০-৩০ জনের দুবৃর্ত্তের দল রাতের আঁধারে আমাদের ‘স’ মিল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তারা প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাংচুর ও লুট ক্ষয়ক্ষতি করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, ‘শেখেরখীলের একটি ‘স’ মিল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কতিপয় দৃবৃর্ত্তের হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল হতে ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।’