image

ঝড়ের কবলে বঙ্গোপসাগরে নিঁখোজ ৫ মাঝিমাল্লা, উদ্ধার ১

image

বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ ধরতে গিয়ে গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ৫ জন মাঝিমাল্লা নিঁখোজ হয়েছে। এ ঘটনায় নিঁখোজ আবদুচ ছবুর (৩৬) নামে একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের খবর নিশ্চিৎ করেছেন বাংলাবাজার ফিশিংমালিক সমিতির সভাপতি হেফাজুল ইসলাম।

উদ্ধার হওয়া আব্দুচ ছবুর উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের হোছাইন আহমদের পুত্র বলে জানা যায়। আবদুচ ছবুরকে নোয়াখালীর হাতিয়ার সাঈদ মাঝির মালিকানাধীন ফিশিং বোট দুপুর আড়াইটার দিকে সাগর থেকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়।

এ ঘটনায় নিঁখোজ অন্য ৫ জন হলেন- পশ্চিম চাম্বল এলাকার মৃত আহমদ উল্লাহর পুত্র আনিস মাঝি (৪৫), মৃত নুর মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আলী (৩৮), শীলকূপ এলাকার মৃত মফিজের পুত্র মিয়া (৩২), আস্করিয়া পাড়ার আমির হোসেনের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন (২৬), কুতুবদিয়া এলাকার ছৈয়দ আলম(৪৫)।

জানা যায়, বাঁশখালী চাম্বল বাংলাবাজার এলাকার প্রায় ১৫-২০টি ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে সকাল ৮টার দিকে হেফাজতুল ইসলামের মালিকানাধীন এফবি মুশফিক, মোহাম্মদ ফারুকের মালিকানাধীন একটি ফিশিং ট্রলার, কেফায়েত উল্লাহ মালিকানাধীন আল্লাহর দান ফিশিং ট্রলার, নন্না মিয়ার মালিকানাধীন আরেকটি ফিশিং ট্রলার, মৌলভী আবুল খায়েরের মালিকানাধীন একটি ফিশিং ট্রলার এবং আনিস মাঝির একটি ফিশিং ট্রলার এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

চাম্বল বাংলা বাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজতুল ইসলাম বলেন, 'গত মঙ্গলবার ১৫-২০ টি ফিশিংবোট মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে যায়। হঠাৎ জড়ো হাওয়া শুরু হলে বাংলাবাজার ঘাটের ৬টি ফিশিংবোট সহ ৬ জন মাঝিমাল্লা নিঁখোজ হয়। এর মধ্যে বুধবার রাতে হাতিয়া এলাকায় আবদুচ ছবুর নামের একজনকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নিঁখোজ হওয়া বোট ও অন্যান্য মাঝিমাল্লার কোন সন্ধান পায়নি বলে জানান তিনি।'

চট্টগ্রাম কোস্টগার্ড এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মু. হাবীবুর রহমান জানান, 'আমরা বঙ্গোপসাগরে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আমাদের টিম ঘটনাস্থলের লোকেশন দেখে উদ্ধার তৎফরতা চালাচ্ছে। নিঁখোজ ৬ জনের ১ জনকে হাতিয়ায় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করার খবর পেয়েছি।'