আনোয়ারায় ছাত্রলীগ কর্মী মো. সেকান্দরের দোকান ভাঙচুর, জাতীয় শোক দিবসের শ্রদ্ধা জানিয়ে টাঙ্গানো বিলবোর্ড ছিড়ে ফেলা, ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ব্যানারে আগুন ও পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে গত ২৪ জুলাই রাতে আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই উপজেলার বারশত ইউনিয়নের পশ্চিমচাল এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান আনোয়ারা থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ১৯ জুলাই দুপুরে স্থানীয় পশ্চিমচাল এলাকার বাসিন্দা ছৈয়দ আমিন ও সেলিম শরীফের নেতৃত্বে ধারালো কিরিচ ও লাঠিসোটা নিয়ে সেকান্দর ও তার ভাই মো. বেলালের উপর হামলা করে। এসময় হামলাকারীরা তার মুদির দোকান ও ভাঙচুর করে টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মো. সেকান্দর বাদী হয়ে স্থানীয় ছৈয়দ আমিন,সেলিম শরীফ, মো. কাউছার, রাশেদ শরীফ, মো. হাসান আমিন,রায়হান শরীফ, শাহজাহান শরীফ,নুর শরীফ ও আশরাফসহ ৯ জনকে আসামী করে আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ মো. সেকান্দর জানায়, তার দোকানের সামনে বিভিন্ন জাতীয় দিবসের বিলবোর্ড টাঙ্গান তিনি। এটা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজত সমর্তিতরা তাকে হুমকি দিয়ে আসছে। এবারও ঈদুল আযহা ও জাতীয় শোক দিবসের ২ টি বিলবোর্ড বসালে তাকে প্রথমে বাঁধা দেয়,পরে প্রতিপক্ষরা জড়ো হয়ে ঐ বিলবোর্ড ছেড়ে ফেলে এবং তার দোকান ভাঙচুর, লুট ও তাদের উপর হামলা করে। এসময় দোকান থেকে নগদ ১ লক্ষটাকা ও ব্যবহৃত মোবাইলও নিয়ে যায় বলে জানায় আহত সেকান্দর।
অভিযুক্ত ছৈয়দ আমিন এসব অস্বীকার করে বলেন, সেকান্দর ও তার ভাই আমাদের উপর হামলা করেছে। তিনি আরো বলেন বিলবোর্ড ভাঙচুরের বিষয়টি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মেনে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ারা থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক আবুল ফয়েজ জুয়েল জানান, মামলার প্রাথমিক তদন্তে সেকান্দর ও তার পরিবারের উপর হামলার সত্যতা পাওয়া গেছে। পরবর্তিতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited