শিরোনাম
জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারা সংবাদদাতা | ১৮:৩৬, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১৯
বর্ষাকাল আসলেই গৃহবন্দী তিন গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ। চলাচল করতে হলে নৌকা আর কাদাজমা ভাঙ্গা সড়কই অবলম্ভন। ছয় মাস কাটে এভাবে। শীতকালে দেখা মেলে গাড়ীর, কিন্তু সড়কে নয়, চাষী জমির উপর দিয়ে। ঘূর্ণিঝড়,জলোচ্ছ¦াস আর জোয়ার ভাটায় জীবণ চলে আনোয়ারার উপকূলেরর মানুষের। একদিকে বঙ্গোপসাগর অপর দিকে সঙ্খ ঘেরাও করে আছে এই এলাকাকে। রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা, দক্ষিণ গহিরা ও পূর্ব গহিরা গ্রামে প্রায় ১৫ হাজার মানূষের জীবণ চলে দূর্ভিসহ ভাবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, দক্ষিণ গহিরায় জমির উপর দিয়ে চলছে সিএনজি-রিক্সা। প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্ধাদের এভাবে যাতায়াত করতে হয়। অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। নেই সড়ক বাতি, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাজার, কবরস্থান সহ কোনো নাগরিক সুবিধা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ঘূর্ণিঝড় রোয়ানো, আয়লা সহ বিভিন্ন সময় সাগরের জোয়ার ভাটায় গ্রামের রাস্তা গুলো ভেঙ্গে গেলে আর মেরামত করা হয়নি। মধ্যম গহিরা, দক্ষিণ গহিরা আর পূর্ব গহিরা এ তিনটি গ্রামের মানুষ বর্ষায় চলাচল করে নৌকায়। এ অবস্থা চলে বছরের ছয় মাস। বাকি ছয় মাস পানি না থাকলেও যানবাহনে চলাচলের কোনো উপায় নেই। কারণ ওই তিন গ্রামের মানুষের পায়ে হাঁটার রাস্তাও নেই। চলাচল করতে হয় জমির উপর দিয়ে। গ্রামের অসুস্থ কোন রোগী কিংবা অন্তঃসত্বা নারী নিয়ে মানুষ পড়ে বিপাকে। অনেক সময় রোগী কাঁধে বহন করে মেডিকেলে নেওয়ার পথেই মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
পূর্ব গহিরা গ্রামের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক মৌলানা আব্দুর রহিম বলেন, তাদের গ্রামের মানুষ বছরের ছয় মাস নৌকা দিয়ে চলাচল করে। আর বাকি ছয় মাস পায়ে হেঁটে। তাদের গ্রামের প্রধান সমস্যা রাস্তা।
তিনটি গ্রামের বিষয়ে কথা হয় বর্তমান চেয়ারম্যান জানে আলমের সাথে। তিনি বলেন, ওই সব গ্রামের মানুষ খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। যাতায়াত সমস্যাই তাদের প্রধান সমস্যা। একটি রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল কিছুদূর কাজও হয়েছিল। পরে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়।’ তবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের প্রচেষ্ঠায় উপকূলীয় এলাকার জন্য ৪শত কোটি টাকার বেড়ি বাঁধের কাজ সম্পন্ন হলে এ এলাকার সমস্যা লাগব হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited