শিরোনাম
মুফিজুর রহমান, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) সংবাদদাতা | ১৫:৫২, অক্টোবর ১২, ২০১৯
১৪ অক্টোবর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তিন ইউনিয়ন সদর, সোনাইছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির কোন প্রার্থী অংশগ্রহন করেনি। যার ফলে ভোটের মাঠে নীতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনের শেষদিনের আগ পর্যন্ত এতবেশি আনন্দ-উচ্ছাস দেখা যায়নি ভোটারদের মাঝে। তবে কর্মী-সমর্থকেরা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের মন জয় করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারনার শেষদিকে ভোটাররাও এখন ব্যস্ত চুলচেরা বিশ্লেষণে। ভোটাররা বলছেন- বিএনপির কোন দলীয় প্রার্থী না থাকায় লড়াইটা আওয়ামী লীগের মধ্যেই হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ১২৩টি। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৫ হাজার ৪৬৭টি এবং পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৬৫৬টি। ঘুমধুম ইউনিয়নে মোট ভোটার ৯ হাজার ৩০১টি। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৪ হাজার ৬১৯টি এবং পুরুষ ভোটার ৪হাজার ৬৮২টি। সোনাইছড়ি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ হাজার। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১ হাজার ৭২৩টি এবং পুরুষ ভোটার ১হাজার ৭৭৫টি।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তসলিম ইকবাল চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আবছার চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। এ ইউনিয়নে সদস্যপদে ১১ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষ প্রার্থী রয়েছেন।
সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান বাহান মারমা ও সাধারণ সম্পাদক এ্যানিং মারমা চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা সম্পর্কে দাদা-নাতি। এ্যানিং মারমা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। সেখান সদস্য পদে ৭ জন নারী ও ২৫ জন পুরুষ প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ, স্বতন্ত্র প্রার্থী রশিদ আহমদ ও সালেহ আহমদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে সদস্যপদের ১০ জন নারী ও ৩৫ জন পুরুষ সদস্য রয়েছেন।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রার্থীদের প্রচারণার মাইকিংয়ে মুখর নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগে ব্যস্থ প্রার্থীরা। কেউ কুশল বিনিময় করছেন। কেউ দিচ্ছেন প্রতিশ্রæতি। ইসলামপুর গ্রামের গণসংযোগের সময় কথা হয় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ভোটারদের স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
একই ইউনিয়নের ফুলতলী গ্রামে গণসংযোগের সময় কথা হয় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেতা নুরুল আবছারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভোট সুষ্টু হলে বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা গ্রামের ভোটার নূর হোসেন বলেন, প্রার্থীরা তো ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রæত দেন। কিন্তু ভোটের পর আর খবর থাকে না। তাই দেখে শুনে ভোট দেব, যাঁকে ভোটের পরেও পাব।
এ ছাড়া অন্য দুই ইউনিয়নেরও চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাত-দিন সমানে চলছে প্রচারণা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ বলেন- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসনের যাবতিয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ১৪ অক্টোবর নির্বাচনকে ঘিরে নাইক্ষ্যংছড়ির তিন ইউনিয়নে ১০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও তিন জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪ প্লাটুন বিজিবি, পুলিশির ৯টি দল ও র্যাবের ৬টি দল টহলে থাকবে। পাশাপাশি বহিরাগত ঠেকাতে পুলিশের ১২টি অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি বসবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited