শিরোনাম
কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | ১১:২৬, মে ২৭, ২০২১
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ার একই সঙ্গে হওয়ায় সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। এ কারণে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল এবং উত্তর ধুরুং বেড়িবাঁধের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বুধবার সকালে বৃষ্টি-বাতাস বয়ে যাওয়ায় পূর্ণিমার জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে। ভাঙ্গন ধরা বেড়িবাঁধের বহু পয়েন্ট দিয়ে সাগরের লোনা পানি কুতুবদিয়ার লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির হায়দার জানিয়েছেন, বুধবার সকালে ও সন্ধ্যায় আলী আকবর ডেইল উত্তর ধূরুং ইউনিয়নে চরধূরুং, বায়ু বিদ্যুৎ এলাকা, কাজীর পাড়াসহ আরও পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু পয়েন্ট দিয়ে সাগরের লোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।
কুতুবদিয়ার ৬ ইউনিয়নে দ্বীপরক্ষা বাঁধের প্রায় ৩/৪ কি.মিটার ভাঙ্গন পয়েন্ট সমূহ হচ্ছে উত্তর ধূরুং ইউপির পশ্চিম চরধূরুং, মিয়াজীর পাড়া, দক্ষিণ ধূরুং ইউপির লাইট হাউস পাড়া, কৈয়ারবিলের বিন্দাপাড়া, মতিরবাপের পাড়া, বড় মৌলবি পাড়া, মলমচর, বড়ঘোপের উত্তর বড়ঘোপ, ঝাউতলা পাড়া, কিরণ পাড়া, হায়দার পাড়া, কাজীর পাড়া, আনিচের ডেইল, বায়ু বিদ্যুত ও পশ্চিম তাবালেরচর ও লেমশীখালীর দরবার জেটির দক্ষিণ এলাকা।
যুগযুগধরে দ্বীপের পশ্চিম অংশে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশী থাকলেও পূর্ব পয়েন্টে তেমন ভাঙ্গন ছিলনা বললে চলে। কিন্তু বিগত দু’দশক আগে থেকে পূর্ব পয়েন্টের প্যারাবন উজাড়, ব্যাপকহারে লবণমাঠ ও শুটকি মহাল করার কারণে এই পাশেও ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে চলছে। ১৯৯১’র ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর বিধ্বস্ত বাঁধ পুন:নির্মাণের পর থেকে বিগত ৩০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি পশ্চিম অংশের বেড়িবাঁধ। এমনকি বর্তমানে ১২০ কোটি টাকার চলমান নির্মাণ কাজেও পশ্চিম অংশ অন্তর্ভূক্ত না হওয়ায় পুরো এলাকা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এদিকে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুতুব আউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় দু-শ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুচফা (বি.কম)।
কুতুবদিয়ার মোট ৪০ বর্গ কি.মিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রায় ২ কি.মিটার বাঁধ বিধ্বস্ত ও পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্তের কথা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরের জামান চৌধূরী।
Developed By Muktodhara Technology Limited