image

আজ, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছে যশোরের কেশবপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতার মৃত্যু রহস্য

ঢাকা ব্যুরো    |    ১৩:২৭, জানুয়ারী ৬, ২০১৯

image

যশোরের কেশবপুর ইউনিয়নের পাঁচ বারের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবু বক্করের মৃত্যুর রহস্য রহস্যই থেকে যাচ্ছে। গত দেড় মাসেও পুলিশ আবু বক্করের মৃত্যুর কোন কূলকিনারা করতে পারেনি। পুলিশ তার মৃত্যুর কারণ নির্নয়ে ময়নাতদন্তের উপর নির্ভরশীল হলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

স্যার সলিমুল্লাহ মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ গত ২ রা ডিসেম্বর ঢাকার দঃ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যার কারণ চিহ্নিত করতে পারেনি চিকিৎসকরা। এ ব্যাপারে স্যার সলিমুল্লাহ মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডাঃমাকসুদ জানান,আবু বক্করের মৃত্যুর কারন চিহ্নত না হওয়ার কারন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতো ৫% মৃত্যুর কারন চিহ্নিত হয় না,আর আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ২০% মৃত্যুর কারন চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না।এর কারন ডায়বেটিস ও ম্যালেরিয়া।মৃত ব্যক্তির ডায়বেটিস অথবা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত থাকলে তাদের মৃত্যুর কারন চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না। আবু বক্করের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।তিনি বলেন তার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন, দৃশ্যমান ছিলো না।এমন কি তার ফুঁসে ফুঁসেও পানি পাওয়া যায়নি যা পানিতে ডুবে মৃত্যু হলে কারন চিহ্নিত করা যেতো।তিনি আবু বক্করের মৃত্যুর কারন চিহ্নিত করতে কেমিক্যাল টেস্ট হতে শুরু করে প্যাথলজি,রাসায়নিকসহ সব পরীক্ষাই করা হয়েছে ; কোন পরীক্ষায়ই কোন কিছু পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি মৃত্যুর কারন নির্নয়ের চেস্টা করে থাকি।

এ দিকে দঃ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃশাহজ্জামান বলেন, আমরা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেয়েছি। এতে মৃত্যুর কারন চিহ্নিত করতে পারেনি।আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ক্লু লেস মামলাটির তদন্ত করছি।তবে এখনো তার মৃত্যুর ব্যাপারে বলার মতো অগ্রগতি নেই।আমরা চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি।প্রায় দেড় মাস অতিক্রম হলেও বিএনপির যশোরের এই নেতার মৃত্যু রহস্যই থেকে গেল।গত নভেম্বর মাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর তিনি ঢাকায় বিএনপির নয়া পল্টন অফিসে দলীয় মনোনয়ন ফর্ম নিতে এসে একটি আবাসিক হোটেল থেকে নিখোঁজ হন।এর পর ১৯ নভেম্বর ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।তার মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এদিকে পরিবারের দাবী আবু বক্কর অপহরণের পর তার স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণও আদায় কারা হয়েছিলো। যে ফোনগুলো থেকে তাকে অপহরণের কথা বলে টাকা নেয়া হয়েছে সে নাম্বার উল্লেখ করে তার ভাতিজা থানায় জিডিও করেছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত না হওয়া এবং তার স্বজনরা ঢাকার বাহিরে থাকায় ঢাকার দঃ  কেরানীগঞ্জ থানা কে তদন্ত নিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে।ক্লুলেস মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে পুলিশ প্রতিটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।উল্লেখ্য আবু বক্কর বিবাহ করেন নি।তিনি দীর্ঘ সময় কেশবপুর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

১৫:৫৮, মে ২৯, ২০২১

ঈদগাঁওতে ধর্ষণ মামলা আসামী গ্রেফতার


Los Angeles

১৪:৩৭, মে ২৬, ২০২১

সীতাকুণ্ড পাহাড় নিধন: জরিমানা গুনল কেএসআরএম


image
image