শিরোনাম
ঢাকা অফিস | ১৮:৩৪, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার বড় গ্রাম এলাকায় রেন্ট-এ কারের ভাড়ার পাওনা টাকা চাওয়ায় সাবেক ইউনিয়ন মেম্বারের ছেলে ও মেম্বারের স্ত্রী প্রকাশ্য শতশত মানুষের সামনে রেন্ট-এ কারের মালিককে বেধড়ক পিটিয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী এই পরিবারের সদস্যরা জনসম্মুখে মারপিট করেই ক্ষান্ত হননি, রেন্ট-এ কার মালিকের বাড়ির সামনে দলবল নিয়ে মহড়া দিয়ে হুমকি দিয়েছেন এ নিয়ে যেনো থানায় মামলা না করেন। প্রাণভয়ে আত্মগোপনে যান রেন্ট-কারের মালিক শিপন।
ঘটনার বিবরনের জানা গেছে, কামরাঙ্গীচর বড়ো গ্রাম, ৫৬নং ওয়ার্ড, ৫১ বাড়ির সাবেক মেম্বার রফিকের এর সেজো ও ছোট ছেলে মনির ও বাবু, দিনা রেন্ট-এ-কার এর মালিক শিপনের থেকে চার দিন কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার জন্য বারো হাজার টাকা চুক্তিতে একটি গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসেন। এরপর ফিরে এসে তাকে দশ হাজার টাকা দিবে বলে জানান। নানা তালবাহানায় এক সপ্তাহ পর রেন্ট-এ-কার মালিক শিপনকে সাড়ে সাত হাজার টাকা দেয়। বাকী আড়াই হাজার টাকা বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চাইতে গেলে সাবেক মেম্বার এর দুই ছেলে বাবু ও মেম্বারের স্ত্রী শিপনকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ সময় রাস্তায় দাড়িয়ে শতশত পথচারী ও এলাকাবাসী এই দৃশ্য দেখলেও ভয়ে কেউ তাদের হাত থেকে শিপনকে রক্ষায় এগিয়ে আসেননি।
খবর পেয়ে কামরাঙ্গীরচর থানার পুলিশ পৌছলে তারা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় এলাকায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে পুলিশ সকালে অভিযান চালিয়ে সাবেক মেম্বারের বড় ছেলে শিমুকে গ্রেফতার করেন।
এদিকে রেন্ট-কারের মালিক প্রাণের ভয়ে থানায় মামলা করতে যাননি বলে জানান। এছাড়া শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় চলাচল করতে পারছেন না।
রেন্ট -এ কারের মালিক শিপন জানান, এই পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই তার কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া নিলেও টাকা দিতে গড়িমসি করতো এবং ভয়ভীতি দেখাতো। ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া ও গাড়ি পুরিয়ে দেয়ার হুমকি দিতো।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভিকটিম কোন মামলা দায়ের না করায় তারা অপরাধীদের দ্রুত আটক করতে পারেননি। এরপরও অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited