image

আজ, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

রাজপথের আন্দোলনেই কেবল গণতন্ত্রের মুক্তি মিলবে : মেজর হাফিজ

ডেস্ক    |    ০১:১০, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০

image

কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে আন্দোলন তা তীব্র ও গতিশীল করতে হলে মাঠের কর্মসূচীর বিকল্প নেই্ ।রাজপথেই হবে স্বৈরাচার আর গনতন্ত্রকামী মানুষের চূড়ান্ত ফয়সালা। দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঠে না নামলে ফল আসবেনা বলে দাবী করেছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে আমার বিনীত আহবান, আওয়ামী দু:শাসনকে অপসারণ করার জন্যে রাজপথে নেমে আসুন। 

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত বিজয়ের ৪৯ বছর ‘ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মেজর হাফিজ।

তিনি বলেন, ৪৯ বছর আগে আমরা যে যুদ্ধে নেমেছিলাম তার ফলাফলটা কি? আমাদের স্বাধীনতা কতটুকু অর্জিত হয়েছে, কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, এই প্রশ্ন আমাদের সবাইকে আলোরিত করে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙ্গালি জাতির জন্য একটি স্মরণীয় অধ্যায়। ইতিহাসের এক স্বর্ণালী উপাখ্যান।

প্রশ্ন ওঠতেই পারে যে, স্বাধীনতার এই ৪৯ বছরে কি পেলাম আমরা। আমরা সবাই স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আমরা যে স্বপ্ন ধারণ করে ৪৯ বছর আগে রণাঙ্গনে জীবন পণ করে লড়াই করেছি তার কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে।

মেজর হাফিজ বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, আজকে আমাদের দেশে গণতন্ত্র এবং সুশাসন নির্বাসনে। মানবিক মর্যাদা ভুলন্ঠিত। স্বাধীনতার এই সময়ে এসে আমরা পেয়েছি শুধু দু:শাসন। আমরা সবাই একটি বৃহৎ কারাগারে বসবাস করছি। সরকার থেকে বলা হয়, আমরা নাকি বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু উন্নয়নের সূচকে আমরা ভুটানেরও নিচে। তথাকথিত উন্নয়েনর রোল মডেল এটি একটি ফাঁকা বুলি। আমারা ক্রমশ দরিদ্র হয়ে যাচ্ছি।   

তিনি বলেন, রাজনীতির হয়েছে ব্যাপক দুর্বৃত্তায়ন। যার যেখানে থাকার কথা নয়, সে সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই গণতন্ত্রই আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এটি অত্যন্ত দু:খজনক। আমরা খুবই তরুণ বয়সে যুদ্ধে নেমেছিলাম দেশকে মুক্ত করার  জন্য। কিন্তু এখন যখন রাস্তায় নামি তাদের খুঁজি, কই সে সকল তরুণেরা। কোথায় হারিয়ে গেল? কোথায় সেই যুবকেরা, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়েছিল। মা বোনের ইজ্জতের জন্য লড়েছিল। আজ প্রতিদিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটতেছে। কোথায় সেই তরুণেরা? যারা ধর্ষণের প্রতিবাদ করবে। দেশে গণতন্ত্র নেই তার প্রতিবাদ কোথায়?

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বলতে দ্বিধা নেই এই বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারাই এখন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। দেশে যতো রাজনৈতিক দল আছে তারা কিভাবে ক্ষমতায় যাবে, তারা সেই চক কসছে। গণতন্ত্রের জন্য তাদেরকেতো রাজপথে নামতে দেখি না। কিন্তু ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা রাজপথে নেমে তাদের সাহসের প্রমাণ দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশ দেখলে দু:খ লাগে। সকল পর্যায়ে দুর্বৃত্তায়ন। কোথায় গেল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচারের লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধ। আজকে সবার কাছে আমার প্রত্যাশা হলো, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরবর্তী প্রজন্মের মাধ্যমে দেশব্যাপি ছড়িয়ে দিন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

০১:১৭, মে ১৪, ২০২২

বাঁশখালী ইউপি নির্বাচনে নৌকায় শেষ হাসি যাঁদের


image
image