শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০০:৪০, মে ৪, ২০২১
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার প্রভাবশালী নেতা কারাবন্দী আসলাম চৌধুরীকে নিয়ে দেশের একটি দৈনিকে সোমবার, ৩মে, ২০২১ “বিএনপি ছাড়ছেন আসলাম চৌধুরী“ শিরোনামে একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়।
উক্ত সংবাদে ঘনিষ্ঠ নেতার বরাত দিয়ে আসলাম চৌধুরীর দল ছাড়ার কথা বলা হলেও সেখানে প্রতিবেদক কারো নাম উল্লেখ করেনি। তাছাড়া পারিবারিক সূত্রের কথা বলা হলেও তারা পরিবারেরও কারো নাম উল্লেখ করেননি।
প্রকৃত পক্ষে নিউজটিকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন, আজগুবি ও মনগড়া বলছেন আসলাম চৌধুরীর পরিবার।
আসলাম চৌধুরীর বড় ভাই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা তথা সীতাকুন্ড বিএনপি’র সিনিয়র নেতা, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসহাক কাদের চৌধুরী বলেন, দল ছাড়ার প্রশ্ন হাস্যকর ও অবান্তর। দলের জন্যই আমাদের পুরো পরিবারের এত ত্যাগ, এত শ্রম। দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত আসলাম এবং আমাদের পরিবারের কঠিন ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানে।
তিনি বলেন, দল ছাড়াতো দূরের কথা, ন্যূনতম আপোষের মানসিকতাও আমরা পোষণ করিনা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে আন্দোলন চলছে আমরা তা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, শুধু আসলাম নয়, দলের কারণে আমরা সব ভাই মামলা হামলার শিকার। আমরা দলে উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। আদর্শিক চেতনা লালন করি বলেই এত সাহস আর সংগ্রাম আমরা চালিযে যেতে পারছি। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা তথা সীতাকুন্ডের মানুষ দলের জন্য যে ত্যাগ, নির্যাতন, হামলা-মামলা সহ্য করে জীবন বাজি রেখে লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে তা এমনি এমনি হয়নি, সেটি আসলাম এবং আমাদের পুরো পরিবারের কমিটেড রাজনীতির ফল।
পরিবেশিত সংবাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা কারো এজেন্ডার অংশ বিশেষ।দলের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার নীল নকশার অংশ বিশেষ। দলের নেতাকর্মীতো দূরে থাক, সাধারণ জনগনও এ মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ বিশ্বাস করেনা।দলের মজবুত ঐক্যে ফাটল ধরানোর নানামুখী ষড়যন্ত্র ও কুটকৌশলের এটিও একটি অংশ।
মেয়ের স্ট্যাটাস সম্পর্কে ইসহাক কাদের চৌধুরী বলেন, ৫ বছর বাবাকে না দেখা যেকোন সন্তানের আকুতিই এরকম হবে। আমাদের মেয়ে বাবাকে অনুরোধ করতেই পারে। কিন্তু সন্তানতো আর সিন্ধান্ত দেয়নি বা দিতে পারে না। এটাকে কোট করা অবান্তর ও হাস্যকর।
ইসহাক কাদের চৌধুরী, দলের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের নাগরিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের এ জাতীয় খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আসলাম চৌধুরীর একান্ত সহকারী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আসলাম চৌধুরী পরিবারের কোন সদস্যের সাথে প্রতিবেদক কথা বলেননি। তাছাড়া দলের দায়িত্বশীল কোন নেতাও এ ধরণের কোন বক্তব্য দেননি। আর যার দল ছাড়ার কথা বলছেন, তার বক্তব্যতো নেই। এটা যার বিয়ে তার খবর নেই, পাড়া প্রতিবেশির ঘুম নেই জাতীয় খবর।
তিনি দাবি করেন, দল ছাড়ার সিন্ধান্ত একান্ত যিনি দল করেন তার।ঘনিষ্ঠ সূত্র কারাগারে বন্দী থাকা নেতার মনোভাব জানলেন কেমনে সেটাই বড় প্রশ্ন। এসব অবান্তর ও অযৌক্তিক সংবাদ পরিবেশন করে কারো ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা যা পাগলামী ছাড়া কিছুই নয়।
সীতাকুন্ড বিএনপি’র আহবায়ক ডা.কমল কদর বলেন, আসলাম চৌধুরীকে নির্মূল করতে দেশী বিদেশী নানা গোষ্ঠী কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু ওনার পর্বতসম সাহস আর বিশ্বাসের কাছে কিছুই পাত্তা পাচ্ছেনা। সেজন্য একের পর এক মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। কোন চাপ-ই তাকে মাথা নোয়াতে পারেনি আর পারবেও না।
এদিকে আসলাম চৌধুরীর পরিবারের ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ সংবাদের জন্য তারা মানহানি মামলার আশ্রয় নিতে যাচ্ছেন।
Developed By Muktodhara Technology Limited