শিরোনাম
চন্দনাইশ প্রতিনিধি | ১৪:৪৪, মে ২৩, ২০২১
চন্দনাইশ উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের প্রায় ঘরে সর্দি, জ্বর, কাঁশি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুরাই বেশি এ এসব সিজনাল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দোহাজারী ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আবার শত শত রোগী চিকিৎসকদের পরামর্শে ব্যবস্থাপত্র নিচ্ছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও ভর্তি হচ্ছেন অসংখ্য ডায়রিয়া রোগী।
দোহাজারী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ৩১ শয্যার এই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫০ জনের অধিক রোগী। এদের মধ্যে প্রায় সবাই সর্দি, জ্বর, কাশি ও ডায়রিয়ার রোগী। আবার কিছু কিছু শ্বাসকষ্টজনিত রোগীও রয়েছেন। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে অনেক রোগী হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহম্মদ আবু তৈয়্যব জানান, গরমের তীব্রতার ফলে যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। দৈনিক কম করে হলেও ৪০ জনের অধিক রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। তাছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে শত শত রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহিন হোসাইন চৌধুরী জানান, ‘দিন যত বাড়ছে রোগীর চাপ তত বাড়ছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়া সিজনাল সর্দি, জ্বর ও কাঁশি তো আছেই। তিনি বলেন গত মাসে মজুদকৃত কলেরা স্যালাইন শেষ হয়ে গেলেও এখন পর্যাপ্ত কলেরা স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদ আছে। সুতরাং চিকিৎসা সেবা দিতে তেমন অসুবিধা হচ্ছেনা। তিনি বলেন, তীব্র গরমে বর্তমানে সিজনাল এসব রোগ বৃদ্ধি পেলেও সামনে বৃষ্টি হলে তা কমে আসবে। তীব্র গরমের এই সময়ে এলাকার লোকজনকে প্রয়োজন ব্যতিত ঘর থেকে বের না হওয়া এবং বাঁশি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান, পুষ্টিকর খাবার যেমন ফলের রস খাওয়া এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
Developed By Muktodhara Technology Limited