শিরোনাম
ডাঃ মোরশেদ আলী | ২২:১৮, জুলাই ৭, ২০২১
এটা শুনতে খারাপ লাগলেও একজন কোভিড ফ্রন্টলাইনার হিসেবে এ সংখ্যার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি ছিলো। আগামী কয়েকটি দিনে সংক্রমন পিক অতক্রম করবে বললে ধারনা করছি।তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরো কিছু দিন বাড়তে পারে। কঠোরভাবে লকডাউন না দিলে দৈনিক ৫০০ জনের উপর মৃত্যু এই ঢেউয়ে দেখা যেতো।
কিন্তু এইভাবে লকডাউন আপাতদৃষ্টিতে মৃত্যু ও সংক্রমণ কমালে ও আমরা জাতি হিসেবে প্রতিদিনই পিছিয়ে যাচ্ছি। যতোদিন মেজরিটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে না ততোদিন এইধরনের বিধিনিষেধ আসতেই থাকবে।যে বয়সে মৃত্যুহার বেশি তাদেরকে আগে বাধ্যতামূলক টিকা দিতে হবে। এক্ষেত্রে চয়েস দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ যারা একসময় টিকা পেয়েও অবহেলা করে নেননি তাদের মৃত্যু বা আক্রান্ত হওয়ার খবরে অন্যদের রুটি রুজির উপরে নেমে আসে লকডাউনের খড়গ।
সরকারের উচিত হবে বিনামূল্যে দেওয়ার পাশাপাশি পেমেন্ট দিয়ে হলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ও টিকা আমদানিতে অনুমোদন দেওয়া ও উৎসাহিত করা।
এই লকডাউনে অনেক প্রতিষ্ঠানের একদিনের ক্ষতির টাকা দিয়ে হাজারো মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। তাই জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে বিশ্ববাজার থেকে কম্পিটিশন করে অতিসত্বর মেজর জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
আমেরিকার প্রতি ১০০ জনের জন্য ২০০ ডোজের বিপরীতে টিকা নিয়েছেন ১৬৮ ডোজ। আমাদের দেশে প্রতি ১০০ জনের জন্য ২০০ ডোজের বিপরীতে টিকা নিয়েছেন ৭ ডোজের কাছাকাছি। বুঝতেই পারছেন আমরা কোথায় আছি কোভিড নিয়ন্ত্রণে।
লেখক : ডাঃ মোরশেদ আলী, এমবিবিএস, বিসিএস,এফসিপিএস (সার্জারী), জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন, পার্কভিউ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।
ভীতি নয় ‘হার্নিয়া রোগ‘ সর্ম্পকে সচেতনতা জরুরী : ডা.মোরশেদ আলী
হ য ব র ল বেসরকারী কোভিড চিকিৎসা ও প্রস্তাবনা
চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সরকারী দায়িত্বশীলদের প্রতি ডা: মোরশেদ আলীর খোলা চিঠি
চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা
কত করোনা রোগী থাকতে পারে আপনার আশেপাশে?
Developed By Muktodhara Technology Limited