শিরোনাম
মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | ২০:৫৮, অক্টোবর ১৬, ২০২০
বন্দুকযুদ্ধে নিহত, আত্বসমর্পণ, কারাদন্ড কোনটাই সফলতা আসছেনা ইয়াবা পাচার বন্ধে। চাহিদা, যোগান এবং নগদ টাকার লোভে নিয়ন্ত্রহীন ইয়াবা কারবার। নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করেই চলছে মাদকের কারবার। প্রতিনিয়িত বেড়েই চলছে ইয়াবার উদ্ধারের গানিতিক সংখ্যা। একসময় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হবার আশংকা থাকায় মাদক পাচার কিছুটা হ্রাস পেলেও গত কয়েক মাসে হঠাৎ করেই বেড়েছে ইয়াবা কারবীদের দৌরাত্ম্য। সাথে পাড়া মহল্লায় রাতদিন চলছে ভাগ ভাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি। হঠাৎ ইয়াবা কারবারীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দুঃচিন্তায় পড়েছে ইয়াবা কারবারের বিরুদ্ধে থাকা পাড়া মহল্লার সচেতন ব্যক্তিরা। গেল কয়েক মাসে মাদক বিরোধী অভিযান শিথিল থাকায় হঠাৎ করেই বেড়েছে ইয়াবা কারবারীদের দৌরাত্ম্য এমন মন্তব্য স্থানীয়দের।
১৫ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে টেকনাফ ২বিজিবির অধিনস্থ লেদা বিওপির নিয়মিত টহল দল লেদা খালের নাফনদীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন লবণ মাঠ দিয়ে দুইজন লোক আসার সময় বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করে। তখন বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে একটি বস্তাসহ উখিয়া জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক/সি-৮ এর শেড নং-৮৯৮ এর বাসিন্দা আব্দুস শুক্কুরের পুত্র সৈয়দ আলম (২২)কে আটক করে। উক্ত বস্তাটি খুলে গণনা করা হলে সেখানে ৪১হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
অপরদিকে হোয়াইক্যং লম্বাবিল মৎস্য ঘেরের পাশে পরিত্যক্ত মালিক বিহীন ৩০হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
টেকনাফ সাংবাদিক ফোরাম’র সভাপতি মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী বলেন, যতদিন ইয়বার চাহিদা, যোগান ও সেবনকারী থাকবে তথদিন ইয়াবা পাচার নিয়ন্ত্রণ হবেনা।
এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর ইয়াবাসহ ধৃত মাদক কারবারীকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে এবং মালিকবিহীন ৩০ হাজার পরবর্তীতে প্রকাশ্যে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে বলে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) নিশ্চিত করেন।
Developed By Muktodhara Technology Limited