শিরোনাম
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | ০০:৩০, মে ১৪, ২০২২
ক্যম্পে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার বেষ্টনির ভেতর রাখতে কাটাতাঁরের বেড়া দেয়া হয়েছে। এই কাটাতাঁর ভেদ করে নানান কৌশলে রোহিঙ্গারা বেরিয়ে আসছে। রোহিঙ্গা শিবিরে দেশি-বিদেশি ২১০ টি এনজিও কাজ করছে। এমনিতেই কক্সবাজার, উখিয়া-টেকনাফ পর্যটন এলাকা। সাথে রোহিঙ্গাদের কারণে ক্যাম্পে আসা-যাওয়া করে শত শত এনজিওর গাড়ি। ফলে এ পথে যানজটের শেষ নেই। ১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাটাতাঁরের বেড়া কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উপর রয়েছে। পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী মরা গাছ তলা পার হয়ে টেকের ওপর রাস্তায় কাটা তারের বেড়ার কারণে জনসাধারণের চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
একদিকে যানজট অন্যদিকে রাস্তায় কাটা তারে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।উখিয়া টিভি রিলে কেন্দ্র থেকে শুরু করে টেকনাফ যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে ধারে এই কাটাতাঁর চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ঘেষে এ ধরণের কাটা তারের বেড়া চলাচলের বিগ্ন সৃষ্টির পাশাপাশি জননিরাপত্তায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে।
পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, সর্বত্র অপরিকল্পিত কাজের ফলে টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে না। আমরা পরিকল্পিত উন্নয়ন ও নিরাপত্তা চাই। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক প্রসস্থ হয়েছে কিন্তু মানুষের চলাচলে ফুটপাত নেই। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও যানজটে নাকাল উখিয়াবাসি। তার উপর রাস্তায় কাটাতাঁরের বেড়া। আমরা যাব কৈ? স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে বিদেশিরা ক্যাম্পে আসা-যাওয়া করে। তাছাড়া সরকার ও প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা এ সড়ক দিয়ে ক্যাম্পে যাতায়াত করেন। এহেন ঝুঁকিপূর্ণ কাটাতাঁর তারা দেখে থাকেন। রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি স্থানীয়দের সুযোগ-সুবিধার প্রতি আরো যত্নশীল হওয়া দরকার।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পে ২১০ টি দেশি-বিদেশি এনজিও কাজ করলেও আমাদের জনপ্রতিনিধিদের সাথে সঠিকভাবে সমন্বয় নেই। ক্যাম্প কেন্দ্রীক কাজে আমরা মোটেও সন্তুষ্ট নয়। এনজিওরা তাদের ইচ্ছে মতো কাজ করে থাকে। যদিও আইশৃংখলা বাহিনীর তত্তাবধানে ক্যাম্পে কাটাতাঁরের বেড়া দেয়া হয়েছে। এরপরও কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উপর কাটা তারের বেড়া জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় মোহাম্মদ ইসলামের স্ত্রী সালমা আক্তার বলেন, আমার নয় বছরের মেয়ে ছালেহাকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম। পেছন দিক থেকে গাড়ি আসায় ভয়ে হাটতে পারিনি। দাঁড়িঁয়ে যায়। যদি সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হতাম তাহলে কাটাতাঁরের বেড়ায় আটকিয়ে মরে যেতাম। এই রাস্তার উপরে কাটাতাঁর আমাদের জন্যে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উপর থেকে কাটা তার সরিয়ে ফেলতে জোর দাবি জানাচ্ছি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মররত এনজিও কর্মী মাসুমা, সানজিদা ও হুমায়রা জানান, ক্যাম্প থেকে কাজ শেষ করে হেটে রাস্তায় এসে গাড়িতে উঠতে হয়। রাস্তায় কাটাতাঁরের বেড়ার কারণে হাটতে ভয় লাগে। যে কোন সময় মারাত্নক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে পারে। তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আনতে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
Developed By Muktodhara Technology Limited