শিরোনাম
মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশ প্রতিনিধি | ২৩:১৫, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
চন্দনাইশ উপজেলায় জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে উপজেলা ভূমি, কৃষি ও হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পাড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, ১৯৭৮ সালের ৪ ডিসেম্বর দ্বিতল বিশিষ্ট এই ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন মোহাম্মদ চৌধুরী। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালের ২০নভেম্বর ভবনটি উদ্ভোধন করেন তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার সাইফ উদ্দিন আহমদ।
দ্বিতল এই ভবনটির উপর তলায় উপজেলা ভূূূমি অফিস এবং নীচতলায় রয়েছে কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ও হিসাব রক্ষণ অফিস। এতে প্রায় ৩০/৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভবনটি ঘুরে দেখা যায়, পুরো ভবনের চারপাশে দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি স্থানে ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে রড বেরিয়ে আছে। খুলে পড়ছে পোকায় নষ্ট হওয়া দরজা-জানালাসহ অন্যান্য উপকরণগুলো। জানালার গ্রিলগুলো মরিচায় নষ্ট হয়ে গেছে।
জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও ভবনটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। বর্তমানে ভবনটির যে অবস্থা তাতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা জেরিন বলেন, "জরাজীর্ণ ভবনটিতে বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। একারনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কক্ষ সংকটের কারনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখার জন্য আলমিরাও বসাতে পারছিনা। উপজেলা ভূমি অফিসের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জোয়ারা এলাকায় স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।"
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম বলেন, "জরাজীর্ণ ভবনে থাকা উপজেলা ভূমি অফিস স্থানান্তরের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে।"
Developed By Muktodhara Technology Limited