শিরোনাম
চন্দনাইশ প্রতিনিধি | ১৬:৫১, অক্টোবর ১২, ২০২১
মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৫৪নং প্লাটুন কমান্ডের কমান্ডার, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের দোহাজারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা (জাসদ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের খাঁন খসরু'র ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে রবিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে দোহাজারী পৌরসভাস্থ সৈয়দ জালাল উদ্দীন বোখারী (রহঃ) মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান খসরুর কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দ। এসময় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এসময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ অর্থ সম্পাদক এম. ফয়েজ আহমেদ টিপু, বৈলতলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য জামাল মিয়া, দোহাজারী পৌরসভা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মশিউর রহমান রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক আলম খান, চন্দনাইশ পৌরসভা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, বরকল ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহ্বায়ক জাহেদ ওসমান নেচার, বৈলতলি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহাজান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচি পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইরফান আহমেদ শুভ, দোহাজারী পৌরসভা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সভাপতি এস.এম মুসা, মো. এহসান বেগসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ- মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের খান খসরুর ভূমিকা ছিলো অবিস্মরণীয়। ১৯৭৫ সালের ১০ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাহাড়তলি হাজী ক্যাম্পে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। ২১ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে দীর্ঘ নয় মাস পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল বিক্রমে যুদ্ধ করে বীরের বেশে বাড়ী ফিরলেও এদেশীয় মীরজাফরদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছিলো তাঁকে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসে অবৈধ অস্ত্র জমা দানের নির্দেশ দেন। এসুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্রের সহযোগীতায় ১৯৭৫ সালের ৪ অক্টোবর মো. আবু তাহের খাঁন খসরুকে বন্দি করে চট্টগ্রামের পাহাড়তলি থানাধীন হাজী ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘ এক সপ্তাহ অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে সুপরকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়। অদম্য সাহস স্পৃহা সহকারে দেশ মাতৃকার ডাকে সাড়া দিয়ে আবু তাহের খাঁন খসরু ১৯৭১ সালে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তি সংগ্রামে। জীবন বাজি রেখে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতার লাল সূর্যটিকে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিঃস্বার্থভাবে অবদান রাখার পরেও ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর ৪৬টি বছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবদি এই হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি।
Developed By Muktodhara Technology Limited