শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮:০৩, মে ৩, ২০২১
দেশে করোনা টিকা আসার পর থেকে তা বিনামূল্যে জনগনের জন্য গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। সুরক্ষা এ্যাপসে নিবন্ধনের মাধ্যমে দেশের নারী-পুরুষরা এ টিকা গ্রহণ করছেন। দুই ডোজের এ টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন বুথ, টিকা গ্রহণের জন্য হাসপাতালে আনা নেওয়ার গাড়ী, টিকা গ্রহীতাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থাসহ অনন্য মানবিক উদ্যোগ নিয়ে মানুষের হৃদয়ে ভালবাসা ও শ্রদ্ধার জায়গা করে নিয়েছেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ।
করোনা টিকা গ্রহণে গ্রামের সহজ সরল মানুষের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতর করতে দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ প্রথমে রেজিস্ট্রেশন বুথ তৈরী করেন। এলাকায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে রেজিস্ট্রেশন বুথে এসে রেজিস্ট্রেশনের আহবান জানান। নিবন্ধনকারীদের মোবাইল নাম্বার সংরক্ষণ করে তিনি সবাইকে ফোনে এবং এসএমএস এর মাধ্যমে যার যার নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্টস্থানে বাসে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সেখানে গাড়ীতে সবাইকে বিনামূল্যে আপ্যায়ন করিয়ে টিকা দেয়া শেষে আবারও বাড়ীতে পৌঁছে দিয়েছেন।
দ্বিতীয় ডোজের সময়ও তিনি একই পদ্ধতিতে সবাইকে এসএমএস এবং ফোনে গাড়ী ছাড়ার সময় ও স্থান জানিয়ে দিয়ে গাড়ীতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। সবাইকে মাস্ক, পানি ও নাস্তা দিয়ে টিকা গ্রহণ শেষে আবারও নির্দিষ্টস্থানে পৌঁছে দিচ্ছেন।
ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে টিকা গ্রহণে মানুষকে এ অসাধারণ সেবা দান ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে চট্টগ্রাম জুড়ে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় তার এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অনেকের নজর কেড়েছেন। ২২ ফ্রেব্রুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত ৭শ’র অধিক মানুষকে তিনি নিবন্ধনের আওতায় এনেছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারী টিকা নিতে যান প্রথম দলটি। ধারাবাহিকভাবে ১০টি বাস ও ১টি হাইস গাড়ীর মাধ্যমে প্রথম দফায় সাড়ে ৬শ মানুষ প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণে এ পর্যন্ত দুই বাসে করে ৯০জন টিকা গ্রহীতা টিকা নিয়েছেন।
জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ বলেন, নিজের প্রচার বা প্রশংসার জন্য আমি এ উদ্যোগ নিইনি। এলাকার সাধারণ মানুষের মন থেকে টিকা ভীতি দূর করে তাদেরকে সচেতন করে টিকা গ্রহণকে সহজবোধ্য করার জন্যই আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
তিনি বলেন, আমি যেহেতু রাজনীতি করি সেহেতু এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে, লিফলেট বিতরণ, মাইকিংসহ নানা কাজে এলাকার শেখ রাসেল সংগঠনের তরুণ ও যুবকরা আমাকে সহযোগিতা করেছে, আমি সকলের নিকট কৃতজ্ঞ।তাছাড়া খোয়াজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজী আলিম উদ্দিন ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষকরা নিবন্ধন্, ফোন, এসএমএসসহ নানা কাছে সহযোগিতা করেছেন। তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদও জানান পরিশ্রমী এ রাজনীতিবিদ।
উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ওয়েবেও ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ এর উদ্যোগ মেডিসিন ব্যাংক, অক্সিজেন সিলিন্ডার সাপ্লাই, করোনা আইসোলেশন সেন্টার, হাসপাতালে রোগী আনা নেয়ায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা চট্টগ্রাম জুড়ে উচ্ছসিত প্রশংসা লাভ করেছিল। তিনি কর্ণফুলীর দলমত সবাইকে নিয়ে একটি সামাজিক সংগঠনও করেছিল করোনা যুদ্ধে সেবাদানের জন্য।
Developed By Muktodhara Technology Limited